অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সুনামগঞ্জে কৃষকের সঙ্গে বোরো ধান কাটায় অংশ নিয়েছেন তিন মন্ত্রী। ধান কর্তনের পাশাপাশি কৃষক সমাবেশেও অংশ নেন তারা। বুধবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরে ধান কর্তন উৎসবে অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
ধান কর্তন উৎসবে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, আমাদের কাছে হাওরের বাঁধের জন্য ২৩০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমরা ১০০ কোটি টাকা দিয়েছি। যাছাই-বাছাই করে আর হয়তো ২০-৩০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। হাওরের খরচ অটোমেটিক কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সুনামগঞ্জের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের পরম বন্ধু। বিশেষ করে হাওরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অসীম স্নেহ। নাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল কলেজ, উড়াল সেতু, রাণীগঞ্জ সেতু পেতাম না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খাদ্য ঘাটতির দেশ, দুর্ভিক্ষের দেশ, সারা পৃথিবীতে আমরা খাদ্যের ঝুলি নিয়ে বেড়াতাম। ভিক্ষুকের দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। সেই বাংলাদেশ আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সেই বাংলাদেশে আজকে আমাদের কৃষকরা ধান কাটে হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালের আগে প্রতিদিন বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মারা যেত। ২০০৩ থেকে ২০০৬ প্রতি বছরের চেহারা ছিল এটি। আমার কাছে ডকুমেন্টস আছে। ২০০৮ সালে নির্বাচনে আমরা ইশতিহার দিয়েছিলাম এদেশের মানুষ না খেয়ে মরবে না। গত ১৪ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। একজন মানুষ যদি তারা (বিএনপি) দেখাতে পারে না খেয়ে মারা গেছে রাজনীতির সঙ্গে আমি ড. রাজ্জাক সম্পর্ক রাখব না।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, পুলিশ সুপার এহসান শাহ্সহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply